খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬ টাকা বেড়েছে চালের দাম যা অব্যহত থাকতে পারে অক্টোবার মাস পর্যন্ত। শুধুমাত্র দেশের বাজারে নয় বিশ্ববাজারেও বেড়েছে চালের দাম। বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে বেশি দামে চাল আমদানী করাও সম্ভব নয়। তবে সুখবর হলো যে নভেম্বর মাসে আমন ধান কাটা শুরু হলে চালের বাজারের এই অস্থিরতা কমতে পারে। বাংলাদেশ গ্রেইহ অ্যান্ড ফিড একটি প্রতিবেদনে বলেছে, সম্প্রিতি বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতির কারণে এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে কম চাল উৎপাদন হতে পারে। গুদামে বর্তমানে চাল মজুদ আছে ১৪ লাখ ৮১ হাজার টন যা গত বছরের তুলনায় বেশ কম।
খাদ্য সচিব বলেন, আগস্টের ৫ তারিখের আগে পর্যন্ত চালের দাম ২-৫ টাকা বেড়েছিল। বাজারে ৪৯-৫১ টাকা সাধারণ মানের চাল পাওয়া যাচ্ছে। এটা স্বস্তিদায়ক।
এদিকে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই, সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো আছে। ফলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা আপদকালীন মজুত ধরেছি ১৩ লাখ টন, এরপর এ সংগ্রহ মৌসুমে এখন পর্যন্ত আর ২ লাখ টন হওয়ার কথা। সেখানে আমাদের মজুত অনেক বেশি আছে।
জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব না পড়লেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে চাল পরিবহনে বাধাগ্রস্ত হয়েছে যার দারুন চালের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতের চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনও অব্যহত রয়েছে। তাই পরিস্থির মিলে আমন ধান কাটা শুরু হওয়া না পর্যন্ত অস্থিতি থাকবে দেশের চালের বাজার।