ইউটিউব থেকে ইনকাম কি হালাল। বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইনেও নানা ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার ভিতর ইউটিউব একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম।
ইউটিউব থেকে ইনকাম কি হালাল ?
সত্যি বলতে এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। যদি কন্টেন্ট এবং বিজ্ঞাপন ইসলামী নীতির সাথে যায়, তাহলে আয় হালাল বলা যায়। অর্থাৎ শিক্ষামূলক, তথ্যপূর্ণ, বা বিনোদনমূলক ইত্যাদি বিষয় যদি ইসলামী নীতি লঙ্ঘন না করে থাকে,তাইলেই হবে।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে হারাম কোনটি? যদি আপনার উদ্দেশ্য হালাল হয়ে থাকে তাহলে হারাম এড়িয়ে চলা ভালো !
এখন এটা এড়ানোর জন্য আপনার কি করার থাকে? বা করণীয় কি ?
হারাম কার্যকলাপ, যেমন সহিংসতা, অনৈতিকতা বা অবিশ্বাসকে, বা অশ্লীলতা, হারাম পণ্য এইসব কে উত্সাহিত বা প্রচার করা যাবে না।
শুধু এতেই সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না।
হারাম কার্যকলাপ প্রচার করে এমন ব্যক্তি বা সংস্থার থেকে সহযোগিতা নেয়া বা সহযোগিতা করা এড়িয়ে চলতে হবে।এবং কোন অনৈতিক পদ্ধতি যেমন বিভ্রান্তিকর বা জোরপূর্বক কাজ করানো যাবে না ইউটিউবের জন্য।
মনে রাখবেন “সূরা নুর, আয়াত : ১৯”
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۹
অর্থাৎ আল্লাহ পাক বলেছেন
“যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”
এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে গুগল এডসেন্স নিয়ে করণীয় কি ?
গুগল এডসেন্স সার্ভিস হলো এমন একটি সার্ভিস যা অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রচার করে থাকে। আর সে অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে। সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি ইসলামী নীতি না মানে তাহলে প্রাপ্ত ইনকাম হালাল হবে না।
গুগল এডসেন্স সমস্যার উপায় কি তাহলে ?
সমাধান আছে, এডসেন্স বন্ধ রাখার সুযোগ রয়েছে, এবং হারাম কার্যকলাপ প্রচার করে এমন বিজ্ঞাপনগুলি ফিল্টার করে রাখতে পারেন। তার জন্য ইউটিউবের এড সেটিংসে গেলেই হবে। সুতরাং ইসলামী নীতি মেনে কন্টেন্ট বানালে তার থেকে ইনকামেরে অর্থ হালাল হবে।
সে জন্যে প্রতিদিনের আমল ও দোয়া পড়ুন “ভিজিট করতে পারেন আমাদের “ইসলাম” পেজটি।”